নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নরওয়েতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা নরওয়েতে কর্মরত রয়েছেন। শুধু নরওয়ে নয় বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের কাজ করতে চেয়ে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ নরওয়ে। সিঙ্গাপুর, দুবাই এবং অন্যান্য দেশগুলোতে যাওয়ার চেয়ে এ দেশটিতে যাওয়া সহজ রয়েছে।
যে কোন দেশে যাওয়ার পূর্বে সেই দেশ সম্পর্কে জানা আমাদের সকলের উচিত। আপনারা যদি এ দেশটিতে যেতে চান বা যাবেন বলে ভাবছেন সুতরাং এই দেশটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া জরুরী। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা যে সকল তথ্যগুলো জানতে পারবেন তা হল।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত, টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, এছাড়াও কত টাকা খরচ হবে, বেতন কেমন, টুরিস্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন, সেখানে কেমন ধরনের কাজ রয়েছে ইত্যাদি। বিস্তারিত নিম্ন উল্লেখ করা রয়েছে।
নরওয়ে টুরিস্ট ভিসা
নরওয়ে উত্তর ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। নরওয়ের রাজধানীর এবং বৃহত্তম শহর এর নাম আসলো। এদেশের সরকারি ভাষা নরওয়েজিও। দেশটির মোট আয়তন ৩ লক্ষ্য ৮৫ হাজার ২০৭ বর্গ কিলোমিটার। এ দেশের মোট জনসংখ্যা ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৮৪ জন (২০২৩)। এ দেশটির অর্থনীতিরত সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে তেল এবং গ্যাসের খনি। পৃথিবীর ১১৯ তম জনবহুল একটি দেশ নরওয়ে।নরওয়ে দর্শনীয় কিছু স্থান
নরওয়েতে
অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যে সকল দর্শনীয়
স্থানগুলো ভ্রমণ করার জন্য অনেকেই যেতে আগ্রহী। কয়েকটি দর্শনের স্থান এর নাম উল্লেখ
করা হলো।
- অসলো
- আল্টা
- অ্যারেন্ডাল
- নর্ডক্যাপ
- জোস্টেডালসব্রিন
ন্যাশনাল পার্ক
- রোরোস
- বোডো
- অ্যালিসান্ড
- ট্রমসো
ভিসা
আবেদন প্রক্রিয়া
নরওয়ের
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আপনারা অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন
করতে পারবেন। বাংলাদেশের যে সকল এজেন্সি
রয়েছে তাদের সাহায্য নিয়েও এ কাজ সম্পন্ন
করতে পারেন।অনলাইনে ভিসা আবেদনের লিংক
https://www.travelvisapro.com/visa/norway
প্রথমত অনলাইনে নরওয়ের আবেদন ফরমটি পূরণ করবেন সঠিক তথ্য দিয়ে।
ফর্মটি পূরণ করার পরে ভিসা ফি প্রদান করবেন। ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে।
আপনারা নিকটস্থ কোনো এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।
প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র
- একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে। যার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র,
- জন্ম সনদ।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অবশ্যই শেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
- সদ্য তোলা ছবি (পাসপোর্ট সাইজের)
- ভিজিটিং কার্ড।
- করোনা টিকা সনদপত্র।
- এয়ারলাইন্স টিকিট।
- হোটেল বুকিং এর কপি।
- সম্পদের দলিল।
- স্বাস্থ্য বীমা।
- ট্রেড লাইসেন্স
ভিসা
প্রসেসিং ফি
নরওয়ে ভিসা প্রসেসিং ফি প্রায় ১৮০০
টাকা।ভিসা প্রসেসিং এর সময়
নরওয়ের ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে আনুমানিক ৮
থেকে ১২ কর্ম দিবস।নরওয়ে ভিসার মেয়াদ
এই দেশটির ভিসার
মেয়াদ ৩০ দিন থেকে
৯০ দিন হয়ে থাকে।ভ্রমণ বিষয়ে সতর্কতা
- ভ্রমণ বিষয়ে আমাদের সকলের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আমরা যদি সতর্কতা অবলম্বন করি তাহলে আমাদের বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
- পাসপোর্ট
ও টিকিট এবং অর্থ ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন।
- অবৈধ বা আইনে অনুমতি
নেই এমন কিছু বহন করা থেকে বিরত থাকুন।
- ধর্ম এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
- যে স্থানে ভ্রমণ
করতে যাবেন সে স্থান সম্পর্কে
সাম্য জ্ঞান অর্জন করুন।
- যে স্থানে ভ্রমণ করবেন সেই স্থানের আইন এবং নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা নিন।
আরো জানতে ভিজিট করুন