কানাডা ভ্রমণ ভিসা | কানাডা ভিসা ফি কত | কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম |

কানাডা ভ্রমণ ভিসা

কানাডা ভ্রমণ ভিসা

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অনেক বেশি মুগ্ধকর। দেশটির রাজধানী অটোয়া এই অটোয়া শহরটি  অনেক মনোমুগ্ধকর। কানাডাতে অনেক দর্শণীয় স্থান রয়েছে। যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করার জন্য বিভিন্ন  দেশ থেকে ভিজিটর এসে থাকেন। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে কানাডার দর্শনীয় স্থানগুলোতে।

কানাডা উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত একটি দেশ। এটি পৃথিবীর  দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি দেশ। এদেশটির মোট আয়তন ৯৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৭০ বর্গ কিলোমিটার। কানাডার জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৮ জন। (২০২৩ আনুমানিক)

কানাডার দর্শনীয় কিছু স্থান সমূহ

কানাডাতে ধর্ষণ করার মত বিভিন্ন স্থান রয়েছে। তবে যে সকল স্থানগুলো খুবই বেশি জনপ্রিয় সেই সকল স্থানগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো। আপনারা যদি কানাডাতে ভ্রমণ করতে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন বা কানাডাতে ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনারা এই সকল স্থান ভ্রমন করতে পারেন।
  1. অটোয়া শহর
  2. ভ্যাংকুভার
  3. সি এন টাওয়ার
  4. নায়াগ্রা জলপ্রপাত
  5. চার্চিল
  6. হুইসলার
  7. ভিক্টোরিয়া
  8. টোফিনো
  9. কুইবেক
  10. মন্ট্রিয়ল
  11. লেক লুইস

আবেদনের নিয়ম

কানাডা টুরিস্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম অনেকেরই অজানা। কানাডাতে আপনারা টুরিস্ট ভিসার জন্য মূলত দুই রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। নিম্নে উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার সকল কাগজপত্র  ইংরেজিতে হতে হবে।

আবেদন করার জন্য দুইটা মাধ্যম রয়েছে।
প্রথমটি হলঃ- অনলাইন আবেদন

আবেদনের লিংকঃ- https://www.signnow.com/jsfiller-desk12  আপনারা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।

দ্বিতীয়টি হলঃ- আপনি আপনার সকল ডকুমেন্টস নিয়ে  ভি এফ এস গ্লোবালে গিয়ে  নির্দিষ্ট এপার্টমেন্ট নিয়ে সকল ডকুমেন্টসগুলো জমা দেবেন।

এম্বাসি ফি কত

কানাডা টুরিস্ট ভিসার এম্বাসি ফি এর জন্য আপনাকে প্রদান করতে হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। তারপরে তারা আপনাদের একটি নির্দিষ্ট তারিখ দেবেন সে তারিখে আপনারা ইন্টারভিউ এর জন্য  দাঁড়াতে পারেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • প্রথমত আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্টে সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে। অবশ্যই পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন দুইটি পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকতে হবে। পুরনো পাসপোর্ট থাকলে সেটা যোগ করতে হবে।
  • সদ্য তোলা ছবি।
  • প্লিকেশন ফর্ম।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট একটি। লাস্ট ছয় মাসের স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দেখাতে পারেন। যত বেশি টাকা দেখাতে পারবেন তত ভিসা পাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকবে। ব্যাংক সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
  • আপনার কাভার লেটারের প্রয়োজন হবে। কাভার লেটারে আপনি আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য তুলে ধরবেন। কাভার লেটারে একটি কারণ দেখাবেন যে আপনি কি কারনে কানাডা যাচ্ছেন।
  • ট্যাক্স কপির প্রয়োজন হবে।
  • আপডাউন এয়ার টিকিটের কপি। হোটেল রিজার্ভেশন এর কপি দিতে হবে।
  • ট্রেড লাইসেন্স এবং ভিজিটিং কার্ড এর প্রয়োজন হবে। যদি আপনি বিজনেসম্যান হন।
  • সেলারি স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • পুলিশ  ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

কানাডা ভ্রমণ ভিসা

ভিসা প্রসেসের সময়কাল

কানাডার ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কর্ম দিবস। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সময় কম বা বেশি লাগতে পারে। যদি আপনাদের সকল ডকুমেন্টসগুলো সঠিক থাকে সেক্ষেত্রে আপনাদের ১৫ থেকে ২০ কর্ম দিবস সময় লাগবে। কিন্তু যদি আপনাদের ডকুমেন্টস গুলোর মধ্যে কোন ধরনের ভুল থাকে সেক্ষেত্রে আপনাদের ভিসা প্রসেসিংয়ের সময়কাল বৃদ্ধি পাবে।

কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ

কানাডা টুরিস্ট ভিসা বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে। কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ৬ মাস থেকে ২ বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে আপনারা যে কোনো সময় কানাডা যেতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আপনারা আপনার পছন্দমত যে কোন স্থান ভ্রমণ করতে পারবেন।

ভ্রমণ সংক্রান্ত সতর্কতা

  1. ভ্রমণের পূর্বে আপনি আপনার পাসপোর্ট ও টিকিট ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন। যেমন, মোবাইল ফোন, চার্জার ইত্যাদি।
  2. অবৈধ কোন কিছু বহন করবেন না।
  3. ভ্রমণ করার পূর্বে আপনারা যে স্থানে যাবেন সে স্থান এর নিয়ম কানুন দেখে নেবেন। এতে করে আপনাদের বেশ কিছু সুবিধা হবে। আরো গুগল ম্যাপ থেকে আপনারা সেই স্থান গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের বেশ কিছু সুবিধা হবে।
  4. আপনি যেখানে যাবেন সেই স্থান সম্পর্কে আপডেট তথ্য জেনে নেবেন।
নবীনতর পূর্বতন