কিউবা টুরিস্ট ভিসা | কিউবা ভিসা আবেদনের নিয়ম |

কিউবা টুরিস্ট ভিসা

কিউবা টুরিস্ট ভিসা

লাতিন আমেরিকার চারপাশে সাগর বেষ্টিত দেশটির নাম হল কিউবা।  আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের থেকে অনেক ছোট হলেও  দেশটিতে হাজারের অধিক দীপ রয়েছে। টুরিস্ট আকর্ষণের সব থেকে বড় মাধ্যম হল সারা দেশের ছড়িয়ে থাকা এই দ্বীপগুলো। প্রতিবছর প্রায় মিলিয়ন টুরিস্ট কিউবা ভ্রমণ করে থাকে। এবং কিউবার অর্থনীতির একটি বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে।

ভ্রমন করার জন্য  লাতিন আমেরিকার সেরা একটি দেশ হলো কিউবা। এবং সেই কারণেই ইউরোপ এবং এশিয়া মহাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পর্যটন আসে দ্বীপে ঘেরা এই দেশটিতে। যদিও দেশটিতে ভ্রমণ করাটা একটু অসুবিধা জনক, কারণ বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়ে এখানে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

কিউবায় ভ্রমণ করার দর্শনীয় স্থান
  • প্লেস ডেল স্টে
  • মাতানজাস
  • লাস  টেরাজাস
  • ইউমুড়ি উপত্যকা
  • কিউবাতে সাইক্লিন ভ্রমণ
  • রেভালোচিন
  • এল মালেকিন
  • সান্টিয়াগো


কিউবা ভিসা আবেদনের নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে কিউবাভিসা প্রসেসিং করা বেশ জটিল। বাংলাদেশ থেকে কেউবা যেতে হলে ভারতের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হয়। ভারতের নয়াদিল্লিতে কিউবা দূতাবাস অবস্থিত। এক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশী বেশ কিছু এজেন্সির সহায়তা নিতে পারেন। উক্ত এজেন্সি গুলো আপনাকে ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে ভ্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় সকল কিছুর দায়িত্ব নেবে।

ভিসা আবেদন করার লিংক

https://cibtvisas.com/destination/cub/cuba-visa

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট (  কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
  • সদ্য নতুন তোলা দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নিশ্চিতকরণসহ একটি  রিটার্ন এয়ারলাইন্স টিকেট
  • কোভিড 19 সার্টিফিকেট
  • প্রাথমিক ভিসা আবেদন ফরম
  • নতুন দম্পতি হলে, বিবাহের সনদপত্রের ফটোকপি।
  • সঙ্গে নাবালক থাকলে,  তার জন্ম সনদপত্রের পত্রের ফটোকপি

কিউবা ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়

নয়াদিল্লি থেকে কিউবা ভিসা আবেদন করার পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে সকল কাগজপত্র যদি সঠিক এবং নির্ভুল থাকে তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেও ভিসা তৈরি হওয়া সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে যে নয়া দিল্লি থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগলেও ঢাকা থেকে নয়া দিল্লি পর্যন্ত প্রসেসিং হতে আরো এক সপ্তাহ সময় বেশি লাগবে।

কিউবা ভিসা নিয়ে সাবধানতা

শুরুতেই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যে আপনি যেন কোন প্রকার প্রতারকের ফাঁদে না পড়েন।  যেহেতু ভিসা প্রক্রিয়া তৃতীয় একটি দেশের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এছাড়াও সাবধান থাকতে হবে যে কিউবা দেশটিতে বছরের বেশিরভাগ সময় বৃষ্টিপাত হয়, এক্ষেত্রে শারীরিকভাবে নিজেকে সুস্থ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

জেনে রাখা ভালো যে কিউবার অধিকাংশ মানুষ খ্রিষ্টান। এবং দেশটির প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষ কোন ধর্মে বিশ্বাসী না। এবং তাদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভাস সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির।   তাই আপনি মুসলিম হলে অবশ্যই সেখানকার বাসস্থান এবং খাবার সম্পর্কে আপনাকে বেশ সাবধান থাকতে হবে।

আরো জানতে ভিজিট করুন,



 
নবীনতর পূর্বতন